Every Thursday Mom used to wear aalta (আলতা) on her feet and read Lokhhir PaNchali (লক্ষ্মী পাঁচালি) aloud for the vespers.
I read the full PaNchali yesterday and realized those were scare tactics to keep the womenfolk in line. Virtuous women those days were not supposed to laugh loudly. Too much make up and talkativeness was also a sign of an Olokhhi (অলক্ষ্মীর চিহ্ন)
Any form of expression was considered a threat to the repression womenfolk faced even in one of the most liberal societies. I wrote this new PaNchali as an addendum to the duties of women. If you want the goddess to live in your house, you can't abuse the women in that family.
শ্রী শ্রী লক্ষ্মী
দেবীর
মডার্ন
পাঁচালি
(নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে
প্রথম খন্ড )
লক্ষ্মী সহ একাসনে বসি
নারায়ণ ।
কৌতুকে করিছে নানা কথা
আলাপন ।।
হেনকালে বীণা হাতে দেবর্ষি
নারদে।
প্রণাম করিল লক্ষ্মী-নারায়ণ
পদে ।।
অন্নাভাবে জীর্ন জীব
বলহীন দেহ।
অন্নের কারণে করে আত্মহত্যা
কেহ।।
বল দেবী! বল বল কি
পাপের ফলে।
দুর্ভিক্ষ অনলে সদা মর্তবাসী
জ্বলে ?
বিষাদিতা হয়ে মাতা অতি
দুঃখ মনে।
মৃদুস্বরে নারদকে কহেন তখনে।।
মানবের সুখ-দুঃখ অথবা পতন।
দুষ্কৃতীর ফল মাত্র জানিবে কারণ ।।
যে গৃহে স্ত্রীলোকের নিত্য
অপমান হয়।
সে বাড়িতে লক্ষ্মী দেবী বাঁধা নাহি রয় ।।
অন্যের মেয়ে বলিয়া যে
বিদ্রুপ করে।
পুত্রবধূ নিজ কন্যা যে
নাহি মনে করে ।।
তার পূজা-আর্চা হয়
বৃথা সকল।
সংসারের দায় কষ্ট সেই
পাপেরই ফল ।।
যে বধূ রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী হয়।
তার প্রতি দুর্ব্যবহার করে
কোন নির্দয় ?
অনাহারে অনাদরে সে যখন পরে থাকে ঘরে।
তা দেখিয়া লক্ষ্মী দেবীর অশ্রু
জল ঝরে ।।
বিদর্ভ নগরে এক গৃহস্থ
ভবনে।
বিবাহের পর আসিল এক
ব্রাহ্মণ কণে ।।
রূপে গুণে লক্ষ্মী,
বড় মিঠে আচরণ।
তা দেখিয়া বাহ বাহ
করেন গুরুজন ।।
সমবয়সীরা মনে করে সখি
সহোদরী।
কনিষ্ঠরা জড়িয়ে ধরে নিজ
দিদি মনে করি ।।
এসব দেখিয়া তার শাশুড়ি
শাপ শাপান্ত করে।
ঝাঁটা নেড়ে খোটা দেয়,
বলে 'ডাইনি এসেছে
ঘরে' ।।
সে যতই এক মনে
পতি সেবা করে।
বুড়ি ভাবে পুত্রবধূ তাবিচ-কবচ
করে ।।
এর কুপ্রভাবে তো গেরস্ত
হাত ছাড়া হবে।
স্বামী-পুত্র-আত্মীয় কেহই
নাহি রবে ।।
একে একে রাক্ষসী করিবে
সকলকে ভক্ষণ।
কি করিয়া রুখিবে তার
এই বজ্রপণ ?
স্বার্থান্ধ হইয়া বুড়ি যায়
এক কাপালিকের নিকট।
রক্তবর্ণ চক্ষু তাহার, চাহনি
বিকট ।।
সব শুনিয়া আনিয়া দেয়
এক বিষাক্ত শিকড়।
বলে,'দুধে মিশিয়ে গিলে
খাওয়ালে হবে শাপে
বর' ।।
পরশ্রীকাতর বামনী এ নাহি
জানে।
পুত্রবধূ গর্ভবতি, তাই হর্ষ
তার প্রাণে ।।
ডাকিয়া তাহারে সে এক
ঢোক গিলায়।
'নিপাত যাক ডাইনি!' মনে
মনে কয়।।
পুত্রবধূ সদাহাস্যময়ী লাস্যময়ী দিন রাত ।
দুধ খেয়ে শাশুড়ির চরণে
দেয় হাত ।।
শাশুড়ির অপেক্ষা করে কখন
হবে রাক্ষসীর পতন।
ঈর্ষাকাতর হয়ে দেখে অলীক
স্বপন ।।
পুত্রবধূর আয়ু বাড়ে, হ্রাস
নাহি পায়।
বিষপানে নাহি হয় তার
ক্ষয় কায় ।।
সব বুঝিয়া পুত্রবধূ দেয় তার দেবীরূপ দর্শন ।
রং-এ রূপে
গলে যায় শাশুড়ির
মন ।।
এক হস্তে কমল ধরি
বর্ষিছে আশীর্বাদ ।
অন্য হস্তে খর্গ ধরি
করে অন্যায়ের প্রতিবাদ ।।
এক স্তন পিয়ে শিশু
পায় নব জীবন।
অন্য স্তনে বাঁধা থাকে
স্বামীর যৌবন ।।
স্ত্রী-কন্যা-মাতার বিশ্বরূপ
দেখি শাশুড়ি কাঁদে।
ভাবে ,'ঘরের লক্ষ্মীর হত্যা
করিব কি সাধে?'
শাশুড়ি কান্না দেখে বধূর
মন হয় কোমল
।
ফিরে আসে নারীরূপে, মুছে দেয় চোখের জল
।।
বধূ তার স্বয়ং লক্ষ্মী
দেবী, পুত্র নারায়ণ।
এ হেন বিচার করে জুড়ায় চিৎ-মন ।।
হর্ষে বিলাসে সে উছলিয়া
উঠে।
লক্ষ্মীর নব ব্রতকথা প্রচার
করে হাঠে মাঠে
ঘাটে ।।
শাস্ত্রের বচনে এই লক্ষ্মীর চরিত্র ।
ভক্তিভরে শুনিলে হবে পরম
পবিত্র ।।
সতীর সাধনার ধন এই
ব্রত কথা।
কালে কালে প্রতি গৃহে
হক প্রচলিত ।।