Copyright

Protected by Copyscape Duplicate Content Software You will copy with risks to penalties and criminal procedures.

Monday, May 07, 2012

Young adult fiction

This a tribute to the countless adventure stories I read as a kid. My apologies in advance to those who can't read Bengali, but I felt the need to write it in my mother tongue first. I might translate it upon completion.

ডাক নাম রশ্মি । বয়স পনেরো কি ষোলো । সবে ICSE দিয়ে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে কিছু দিন মামা বাড়ি যাবে বলে ঠিক হয়েছে , তাই মনে খুব আনন্দ । মামার বাড়ি মানেই আম গাছ, লিচু গাছ, পেয়ারা গাছ । দুপুর বেলা পাখির ডাক শুনতে শুনতে গাছে ঝুলে ঝুলে ফল পেড়ে খাওয়া - কেও মানা করবে না ।

মা ও তখন পড়ার জন্যে জোর করেন না । আর আসে পাশে সমবয়েসী অনেক প্রতিবেশী আছে, আর আছে মাম - রশ্মির প্রিয় বান্ধবী । শুভদা, সোনাদাদা - এরাও আছে যারা স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলে; আর মা আম কুচি বানিয়ে দিলে সব হর হর করে চলে আসে । সেই মামার বাড়িতেই যে এত কান্ড হবে সে কে জানত ?

পরীক্ষা শেষ হলো পর ঠিক হলো যে মা আর রশ্মি আগে চলে যাবে, বাবা কিছু দিন বাড়ি থেকে অফিস করে এরপর ওদের ফেরার সময় হলে গিয়ে এক দিন নিয়ে আসবেন ।



এবার মামার বাড়ি যাওয়ার আরেকটা বড় আকর্ষণ হলো যে দাদুভাই বলেছেন একটা নতুন তীর ধনুক বানিয়ে দেবেন । সবাই জানে রশ্মি খুব ডাকাবুকো, বাবাকে ছাড়া কাউকে ভয় পায় না । ও বলে ,' আমি ভুল না করলে, ভয় পাব কেন ? আমি তো বড়দের কথা শুনি তাই কেউ আমাকে বকে না ।' সেটা অবশ্য ঠিক । ও সবারই খুব আদরের - ছোটদের গল্প বলা আর বড়দের সঙ্গে গান করা ও খুব ভালো পারে - তাই সবাই ওকে কাছে চায় । মামিমা পেলেই বলেন, 'একটা গান শোনা না', ছোটরা বলে ,'দিদি একটা ভূতের গল্প প্লিজ !' তাই রশ্মির সময় ভালোই কাটে । আর সবাই মিলে যখন দারুন দারুন রান্না করে- কি ভুরিভোজই না হয় ! খেয়ে খেয়ে এক এক সময় হাপিয়ে যেতে হয় -উফ !

*
এক দিন বিকেলে দাদুর পাশে বসে রশ্মি ঘুড়ি বানানো দেখছিল তখন খবর এলো যে শুভদাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । গ্রীষ্মের ছুটিতে সবার স্কুল বন্ধ, তাই সবাই রোজ বিকেলেই খেলতে যায় বন্ধুদের সঙ্গে । রশ্মিও গিয়েছিল মাম-এর সঙ্গে- কিছুক্ষণ আগে ফিরে হাত-পা ধুয়ে বিকেলের জল খাবারের অপেক্ষা করছে ।

শুভদা আজ খেলতে যায় নি বলে ওর বন্ধুরা ওকে খুঁজতে ওর বাড়ি গিয়েছিল, তখন ওর মা বললেন ও নাকি অনেক আগেই স্কুল মাঠে যাবে বলে বেরিয়েছে ।
(ক্রমশ)

No comments: