বন্ধুরা সব তাকে সুন্দরী বলত। 'তুই বলিউড যাস না কেন?' তাই অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে চলে এসেছিল একদিন একরোখা মন নিয়ে। তন্বী শরীর, প্রাণবন্ত মেয়ে। ব্রেক পেয়েছিল এক বিখ্যাত তারকার ললিতা হিসেবে।
রূপালী পর্দায় দেখে সবার তাক লেগে গিয়েছিল- কে এই মেয়েটি? উচ্ছ্বসিত যৌবন, অলংকারহীন সৌন্দর্য। চোখ ফিরানো যায় না। বয়োবৃদ্ধ তারকার অভিজ্ঞ মাধুর্যও আজ তার কাছে ম্লান। সে সদ্যযৌবনপ্রাপ্তা, তার অহংকার হবারই কথা।
কিন্তু অহংকারে পেট ভরে না। সেক্স সাইরেন হিসেবে পরিচিত হলেও তাকে কেউ মুখ্য ভূমিকা দেবে সেই আশা বৃথা । কিন্তু সে তো 'অসম্ভব' মানে জানে না। তাই চেষ্টা চালিয়ে যায়। কখনো কখনো ক্লাবে গিয়ে পান করা অভ্যাসের মত দাড়িয়েছে। ভালো লাগে বুক-গলা জ্বালিয়ে সুরা পান করতে। জীবনের সব তিক্ততা যেন ফিকে পরে যায়, নরকবাসের যাতনাও হয়ে ওঠে সহ্যকর ।
সেই ফাঁকে একদিন, কে একটু ভালবাসার আশা দেখিয়েছিল। স্বপ্ন দেখেছিল সেও একটা ঘর বাঁধবে। একা একা জীবন কাটতে চায় না। শুধুই নিজেকে ভালবাসতে বাসতে হাঁপিয়ে যায় প্রাণ। তাই একদিন সমস্ত সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে তার সর্বস্য সমর্পণ করেছিল তার প্রণয়ীর কাছে। এ নেশা যেন আরও মারাত্মক। নিজেকে ভুলে থাকার এর চেয়ে সহজ উপায় আছে কি?
গর্ভবতী হয় সে। ফিল্মের জন্যে এদিক ওদিক ছুটো ছুটি তখনো চলছে। কাস্টিং ডিরেক্টর বলে, 'ওজন কম করো, নাহলে সাইড রলেও কেউ নেবে না।' রেগে গিয়ে চর মেরে বসে। এত বড় আস্পর্ধা লোকটার! ফিরে এসে প্রণয়ীকে বলে- আর নয়, এবার বিয়ে করি চল।
প্রণয়ী বলে- বিয়ে? জীবনে তো কিছুই করি নি। এখনি বিয়ে কি করে করব? আর এই সন্তান যে আমার, তার প্রমাণ কি? শুনেছি তুমি নাকি অনেকের সঙ্গেই 'পার্টি' কর।
রাগে দুঃখে কাঁপতে থাকে শরীর। দৌড়ে বেরিয়ে আসে। ছুটতে ছুটতে ভাবে- আর তো যাবার জায়গা নেই। মা বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে এসেছিল। এই শহরে তার কোন প্রকৃত বন্ধু নেই।
একবার সাহস করে বাবাকে ফোন করলে? ছোটবেলায় বাবাকে সব বলতে পারত। কিন্তু আজ কি করে বলবে যে তার মেয়ে হেরে গেছে? অন্য প্রান্তে বাজতে থাকে ফোনের হতাশ আর্তনাদ। এখন অস্ট্রেলিয়ায় কি সময় হবে? ঘুমোচ্ছে কি ওরা?
ঘুম। কি ঘুম পাছে তার ! মায়ের কোলে মাথা রেখে শুতে খুব ইচ্ছে করছে। মা রাগ করলেও বাকি দুনিয়ার প্রেমের ছলনার চেয়ে কম নিষ্ঠুর। একবার যদি মাকে দেখতে পেত! চোখের জলে দৃষ্টি ঘোলা হয়ে ওঠে, হেঁটে হেঁটে ফিরে যায় বাড়ি। তার অজান্তেই যেন তার শেষ আশ্রয়টুকু তাকে কাছে টেনে নিতে চায়।
জল, দড়ি, বিষ - কি দিয়ে শেষ করবে এই অভাগা জীবন? কি এসে যায় তাতে?
হাসপাতেলের শবঘরে রতিক্রিয়ারত পিয়ন ভাবে- ইস! সৌন্দর্যের কি অপচয়!
রূপালী পর্দায় দেখে সবার তাক লেগে গিয়েছিল- কে এই মেয়েটি? উচ্ছ্বসিত যৌবন, অলংকারহীন সৌন্দর্য। চোখ ফিরানো যায় না। বয়োবৃদ্ধ তারকার অভিজ্ঞ মাধুর্যও আজ তার কাছে ম্লান। সে সদ্যযৌবনপ্রাপ্তা, তার অহংকার হবারই কথা।
কিন্তু অহংকারে পেট ভরে না। সেক্স সাইরেন হিসেবে পরিচিত হলেও তাকে কেউ মুখ্য ভূমিকা দেবে সেই আশা বৃথা । কিন্তু সে তো 'অসম্ভব' মানে জানে না। তাই চেষ্টা চালিয়ে যায়। কখনো কখনো ক্লাবে গিয়ে পান করা অভ্যাসের মত দাড়িয়েছে। ভালো লাগে বুক-গলা জ্বালিয়ে সুরা পান করতে। জীবনের সব তিক্ততা যেন ফিকে পরে যায়, নরকবাসের যাতনাও হয়ে ওঠে সহ্যকর ।
সেই ফাঁকে একদিন, কে একটু ভালবাসার আশা দেখিয়েছিল। স্বপ্ন দেখেছিল সেও একটা ঘর বাঁধবে। একা একা জীবন কাটতে চায় না। শুধুই নিজেকে ভালবাসতে বাসতে হাঁপিয়ে যায় প্রাণ। তাই একদিন সমস্ত সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে তার সর্বস্য সমর্পণ করেছিল তার প্রণয়ীর কাছে। এ নেশা যেন আরও মারাত্মক। নিজেকে ভুলে থাকার এর চেয়ে সহজ উপায় আছে কি?
গর্ভবতী হয় সে। ফিল্মের জন্যে এদিক ওদিক ছুটো ছুটি তখনো চলছে। কাস্টিং ডিরেক্টর বলে, 'ওজন কম করো, নাহলে সাইড রলেও কেউ নেবে না।' রেগে গিয়ে চর মেরে বসে। এত বড় আস্পর্ধা লোকটার! ফিরে এসে প্রণয়ীকে বলে- আর নয়, এবার বিয়ে করি চল।
প্রণয়ী বলে- বিয়ে? জীবনে তো কিছুই করি নি। এখনি বিয়ে কি করে করব? আর এই সন্তান যে আমার, তার প্রমাণ কি? শুনেছি তুমি নাকি অনেকের সঙ্গেই 'পার্টি' কর।
রাগে দুঃখে কাঁপতে থাকে শরীর। দৌড়ে বেরিয়ে আসে। ছুটতে ছুটতে ভাবে- আর তো যাবার জায়গা নেই। মা বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে এসেছিল। এই শহরে তার কোন প্রকৃত বন্ধু নেই।
একবার সাহস করে বাবাকে ফোন করলে? ছোটবেলায় বাবাকে সব বলতে পারত। কিন্তু আজ কি করে বলবে যে তার মেয়ে হেরে গেছে? অন্য প্রান্তে বাজতে থাকে ফোনের হতাশ আর্তনাদ। এখন অস্ট্রেলিয়ায় কি সময় হবে? ঘুমোচ্ছে কি ওরা?
ঘুম। কি ঘুম পাছে তার ! মায়ের কোলে মাথা রেখে শুতে খুব ইচ্ছে করছে। মা রাগ করলেও বাকি দুনিয়ার প্রেমের ছলনার চেয়ে কম নিষ্ঠুর। একবার যদি মাকে দেখতে পেত! চোখের জলে দৃষ্টি ঘোলা হয়ে ওঠে, হেঁটে হেঁটে ফিরে যায় বাড়ি। তার অজান্তেই যেন তার শেষ আশ্রয়টুকু তাকে কাছে টেনে নিতে চায়।
জল, দড়ি, বিষ - কি দিয়ে শেষ করবে এই অভাগা জীবন? কি এসে যায় তাতে?
হাসপাতেলের শবঘরে রতিক্রিয়ারত পিয়ন ভাবে- ইস! সৌন্দর্যের কি অপচয়!