তার সঙ্গে সংসার করেছি দেড় বছর -
দু -তিন ঘণ্টার সংসার।
শুক্লপক্ষের চতুর্থীর চাঁদের মতো,
অর্ধেক আলো,
অর্ধেক অন্ধকার,
তবে অন্ধকারই বেশি ।
রোজ সকালে
মেসেজ আসত তার,
একটা সূর্য ☀️
একটা চাঁদ 🌙
যেন অসম্ভব প্রেম ।
দরজা খুলে রাখতাম,
তার নির্বিঘ্নে আনা গোনার জন্য
পাশের বাড়ির প্রতিবেশীও
তাকে চিনতে লেগেছিল ।
দেখা হলেই বলতো
"I missed your smile”
তখন তাকে দেখে আরো হাসতাম ।
প্রাণ ঢেলে দিতাম তাকে।
আমার চুলে হাত বুলিয়ে বলত,
“চা বানিয়ে দিই?”
আমি মাথা নাড়লে রান্নাঘরে মিলিয়ে যেত।
চা-পাতা, লবঙ্গের গন্ধে ঘর ভরে উঠত।
আমি নির্বস্ত্র হয়ে তাকে দেখতাম
মনের মধ্যে ছবি তুলে রাখতাম ।
কখনো তুর্কিশ কফি
দারচিনি দেওয়া,
কখনো নিজের হাতে
বাজার করে
রান্না করে দিতো
আমার প্রিয়
আচারি চিকেন উইংস ।
তারপর তার মজবুত বাহুডোর,
পুতুলের মতো তুলে নিত আমায়
রান্না ঘর থেকে আবার
শোবার ঘরে
নিয়ে আসতো কোলে করে ।
আমাদের নিঃশব্দ কথোপকথন,
আলোর মাঝে ছায়া,
ছায়ার মাঝে আলো।
একা জীবনে ওইটুকুই অনেক ।
এই জন্যে অন্য কারোর গন্ধ
ওর শরীরে পেয়েও
নিজেকে বলতাম
ভুল ভাবছি ।
কিন্তু একদিন…
দেখলাম তার বুকে আঁচড়ের দাগ
আর
আমার বুকের ভেতর শীতল শূন্যতা।
বুঝলাম অন্য কেউও আছে
জেনেছিলাম, সে কারো স্বামী,
আমার সংসার শুধু দু -তিন ঘন্টার ।
প্রেমটা অসম্ভব নয়,
অবৈধ ।
আমি সরে এসেছিলাম।
ফোন বন্ধ, দরজা বন্ধ,
রান্নাঘরে এখন অধিকার শুধু আমার ।
তবু, যখন বৃষ্টি নামে,
কখনো কখনো মনে হয়,
সে এসে বলবে, “কফি, না চা?”
আমি আবার বলব, “কফিই করো।”
কিন্তু জানি, সে আসবে না।
তবু তার ছায়া আমার চায়ের কাপে,
তার হাতের স্বাদ এখনও আমার ঠোঁটে।
No comments:
Post a Comment